Saturday, September 1, 2018

ডিজিটাল বাচ্চা


আজকালকার বাচ্চারা স্মার্ট ফোন ছাড়া ভাত খায় না, টয়লেট করে না, আর তাদের বাবা মায়ের কাছে স্মার্ট ফোন না থাকলে তারা আবার আমাদের দ্বারস্থ হন; আমরা তাদের বাচ্চার খানার জন্য আমাদের স্মার্টফোনটি খানিক সময়ের তাদেরকে দান করি (তখন বাকীদের কি হয় জানি না, আমার কলিজাটা ফেটে যায়),
এরপর সেই স্মার্টফোনটা বাচ্চা খেতে খেতে উড়ায় ফেলুক, গুড়ায়ে ফেলুক, কমোডে ফেলুক তার দায়ভার কেও নেবে না। আর আমাদের বাপের টাকায় কেনা স্মার্টফোনের আয়ু এভাবেই অর্ধেক হতে থাকে, আর যারা নিজের টাকায় কেনেন তাদের ফোনের সাথে সাথে তাদের আয়ুও অর্ধেক হয়ে যাবে।

আজকালকার মা বাবারা দুধের বাচ্চা স্মার্টফোন ইউজ করতে পারে এটা নিয়ে মহা উৎসাহে, মহা উচ্ছ্বাসে কথাটি বলে বেড়ান, কেন তা আমার আজও অজানা। যেন তার বাচ্চার মত তুখোড় ব্রেইন এই যুগে কারো নেই।

আর আমরা ওই বয়সটাতে কারেন্ট চলে গেলে হারিকেন জ্বালাতে বসতাম, মোমবাতি খুজতে অন্ধকারে দৌড় দিতাম। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কারেন্ট আসার অপেক্ষায় বসে থাকতাম, যেন এক তপস্যা। বাবা চ্যালেঞ্জ করতো, যে বলবে কতক্ষণ পর আসবে কারেন্ট তার জন্য আকর্ষণীয় পুরস্কার। আর কারেন্ট এসে গেলে, শুরু হতো স্বর্ণবিজয়ের আনন্দ। ঐ আনন্দ গুলো আজকালকার বাচ্চারা কখনোই বুঝবে না।  

যখন আমরা বলি “ইশ, দিনগুলো যদি ফিরে পেতাম” তখন বুঝতে হবে বুকের কোণে এক বেদনা তখন সব স্মৃতি বিস্মৃতিগুলোকে নাড়া দিয়ে ওঠে।

©All content on this blog is protected by copyright law. Unauthorized use, reproduction, or distribution of any articles without permission is strictly prohibited. Legal action may be taken against violators.


No comments:

Post a Comment

তুলনা

 তুলনা করে কথা বলাটা আমি প্রচন্ড ঘৃণা করি..... এই তুলনা করার মত ঘৃণ্য কাজ, ভাই-বোনের সম্পর্ক, বাবা-মায়ের সম্পর্ক, পৃথিবীর সব পবিত্র সম্পর্কক...