Friday, December 15, 2023

"মনের শান্তি" মরীচিকার মত বাস্তব.....

এই লেখাটি ডায়েরির কোণে খুঁজে পেয়েছি, লিখেছিলাম গত বছর, মাঝ ডিসেম্বরেরই কোন এক সময়...

কালকে এক্সাম, মাত্র দুটা চ্যাপ্টার শেষ করেছি তাও ভালমত না, ঘুম থেকে উঠে কিচ্ছু মনে নেই.... বাসায় গিয়ে বিশাল সমুদ্র শেষ করা বাকী.... এরমধ্যে অফিসও করতে হচ্ছে....

খুব দ্রুত আগাচ্ছে এই শহর.... মানুষগুলোও তাই দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে.... একজন আরেকজনকে পিষ্ট করে এগিয়ে যাওয়ার যেন একটা অসুস্থ প্রতিযোগিতা....যদি এই দৌড়ে জিততে না পারো তুমি ব্যর্থ....

কারোর মধ্যে ভ্রুক্ষেপ নাই সামনের মানুষটা কষ্ট পেতে পারে, তারও ব্যক্তিগত দুঃখগাঁথা থাকতে পারে.... দিনশেষে তারা সবাই প্রচন্ড একা.... এতকিছুর পরেও মনের শান্তির খোঁজে যেন কেও নেই.... "তুমি ছোট আমি মহান"-এমন অসুস্থ মানসিকতা যেন কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে তাদের পচা মস্তিষ্ক.....

একজন একজনকে দমিয়ে রাখার নোংরা খেলা.... চারিদিকে বিপদ বিপদ গন্ধ..।।

এই শহরে "মনের শান্তি" মরীচিকার মত বাস্তব.....

 ©All content on this blog is protected by copyright law. Unauthorized use, reproduction, or distribution of any articles without permission is strictly prohibited. Legal action may be taken against violators.

Toxic Domination

 আমি আসলেই বুঝি না, প্রতিটা ক্ষেত্রে মেয়েদেরকেই কেন সাফার করা লাগে...?

যেকোন কিছুতেই স্কুল লেভেল থেকে লিড করার চেষ্টা করতাম..... স্কুল লেভেলে থাকতে দেখতাম আমাদের তরফ থেকে দেওয়া কোন ইনপুটই স্যাররা সিরিয়াসলি নিতেন না....

ভার্সিটি লেভেলেও দেখলাম প্রতিটা এসাইন্মেন্ট গ্রুপ ওয়ার্কে আমরা যারা মেয়েরা লিড দিতাম আমাদেরকে প্রচন্ড ঝক্কি ঝামেলার মধ্যে পড়তে হতো.... আমরা কোন ইন্সট্রাকশন দিলে তোয়াক্কাই করতো না.... প্রতিটা পদক্ষেপ যেন কঠিন থেকে কঠিনতর হতে থাকতো....

চাকরি জীবনেও সেইম অবস্থা.... ক্লায়েন্টরা আমার পুরুষ কলিগদের সাথে যতটা সম্মান নিয়ে কথা বলে, আমার অফিসের আমার সাথে বা অন্য কলিগদের সাথে যাচ্ছেতাই ভাবে কথা বলে... আমার অফিসের ক্লায়েন্টরা মোটামোটি সবাই অনেকটাই উচ্চশিক্ষিত, কারণ ম্যাক্সিমামই উচ্চতর ডিগ্রি নিতে দেশের বাইরে যাচ্ছেন.... মাস্টার্স, পিএইচডি লেভেল..... কিন্তু তাদের মনমানসিকতাও মেয়েদেরকে "taken for granted" ধরে নেওয়া...।।

আমি অবাক হয়ে যাই..... মূল সমস্যাটার শুরু একচুয়েলি কোথায়? কারণ পৃথিবীর প্রতিটা মানুষই কোন না কোন মায়ের গর্ভ থেকেই এসছে.... আর সে মায়ের জাতির সাথেই তাদের এমন আচরণ? কেন?

Gender Discrimination is a fact, no matter from which background you belong, whatever assets you carry..... every women is gonna suffer in their path regarding gender discrimination..... it's a sad reality.....

সমাজকে বলছি, যত পারো দুচ্ছার করে নাও, আমরাই সৃষ্টির মূল কারণ, শুধু ধ্বংসের মূল কারণ হতে বাধ্য করো না...

©All content on this blog is protected by copyright law. Unauthorized use, reproduction, or distribution of any articles without permission is strictly prohibited. Legal action may be taken against violators.

জিতে গিয়েছো ভাবছো?

 এই শহরের প্রতিটা জীব যেন এই প্রতিযোগিতার অসুস্থ প্রতিযোগী....

সারাটাক্ষন একজন একজনের পিছে লেগেই রইছে "আমি মহান তুমি অধম" প্রমাণ করার জন্য....

- আমি এগুলো জানি আপনি এটাও জানেন না....

- কি পড়াশোনা করছেন...

- এটা আপনার অযোগ্যতা এটা আপনি পারেন না

টুঁটি চেপে জাঁকায়ে ধরলে তার যোগ্যতার বিতিকিচ্ছিরি বর্ণনা করা যায়... কিন্তু আমার পারিবারিক শিক্ষা আমায় তা করতে বারংবার বাঁধ সাধে.... ভাবছো জিতে গিয়েছো? মানুষ হিসেবে তো কবেইহেরে গিয়েছো শুধু সেই দিনটার অপেক্ষায় আছি যেদিন তারা নিজেরাই বুঝবে অন্যের মনবোল ভাঙার এই নোংরা খেলা খেলে কোন লাভই হয় নাই... উলটো তারা সেই রসাতলেই পড়ে গেল, দশটা বদদোয়া কামাইলো- ইহাই থাকবে তাদের সারাজীবনের অর্জন....

করুণা হয় তাদের বাবা মায়ের জন্য, আহারে তারা যদি জানতেন তাদের গুণধর পুত্র কন্যারা কি করে বেড়ায়....

কি সুখ তারা পায় এগুলো করে স্বয়ং ঈশ্বরও জানেন না..


©All content on this blog is protected by copyright law. Unauthorized use, reproduction, or distribution of any articles without permission is strictly prohibited. Legal action may be taken against violators.

সময় গেলে সাধন হয় না

অফিসে একদিন একটা ফোন এসেছিল.... একজন ভদ্রমহিলা প্রচন্ড ডেসপারেট দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য, "আমাকে কোন দেশে যাওয়া যায় বলেন...." প্রোফাইল জানার জন্য যখন বিভিন্ন প্রশ্ন করতে লাগলাম, দেখলাম

- উনি অনার্স থার্ড ইয়ার পর্যন্ত পড়েছেন (BBA),

- এরপর ওনার বিয়ে হয়ে যায়,

- পড়াশোনার কন্টিনিউ করেননি

- গত বছর উনার ডিভোর্স হয়েছে, উনি বিভিন্ন জায়গায় চাকরির জন্য আবেদন করেছেন, কিন্তু কোথাও পাচ্ছেন না চাকরির অভিজ্ঞতার অভাবে।

- তার উপর ওনার স্বামী ওনার থেকে বাচ্চাদের কা
স্টডি নিয়ে নিয়েছেন, ওনারা অনেক ক্ষমতাধর মানুষ, আমি এই দেশ ছেড়ে যেতে চাই...

-আমি দেশের বাইরে যদি বাথরুম পরিষ্কার করারও চাকরি পাই, আমি যেতে রাজি।

ইচ্ছা থাকলেও আমি ওনাকে সেদিন কোনো সাহায্য করতে পারিনি.... প্রচন্ড হতাশ হয়ে উনি ফোনটা রেখে দিলেন.... এবং সেই হতাশা আমার মধ্যেও সংক্রমিত হলো....

সে একজন মা, তার থেকে অলরেডি তার বাচ্চাকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে সে অনেক লড়াইও করেছে নিশ্চয়, আজ শুধু নিজের প্রাণ বাঁচানোর জন্য সে দেশে বাইরে যেতে চায়...

এমন সিচুয়েশন পৃথিবীতে কারো না হোক....


Video Source: Instagram

©All content on this blog is protected by copyright law. Unauthorized use, reproduction, or distribution of any articles without permission is strictly prohibited. Legal action may be taken against violators.

একদিন সবাই যে যার রাস্তায় চলে যাব... এ যাত্রা নিরন্তর


ঢাকা শহরে আসার পর, জীবনে আমূল পরিবর্তন এলো... আমি মানসিক ভাবে প্রস্তুত ছিলাম এমন পরিবর্তনের... অনেক রকম ঘটনা দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছি... আস্তে আস্তে সব অভিজ্ঞতার ডালা নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হবো। 

আজ যেই উপলব্ধিটা শেয়ার করবো, এই পরিস্থিতির কথা চট্টগ্রাম ছাড়ার সময় একদম মাথায় আসে নি...

দীর্ঘকাল ধরে অবস্থান করা একটি শহর ছাড়া মানেই নিজের অস্তিত্বকে ছেড়ে আসা.... মন চাইলেই মাকে ছুঁয়ে দেখতে পারিনা.... আজ মন চাইলেই দৌড় দিতে পারি না বান্ধবীর বিয়েতে.... বান্ধবীরা কেউ ঢাকায় আসলে বারবার বলি মিরপুরের দিকে থাকলে একটু দেখা করে যাস .... আত্মীয়-স্বজনরা কেউ ঢাকায় আসলে মনটা চায় তাদের কাছে ছুটে যাই.... কেও কেও বেঁচে আছি না মরে গিয়েছি, তা জিজ্ঞাসাও করে না...... 

অফিস টাইম শেষ হয় সন্ধ্যা ৭ টায়.... এরপর মাস্টার্সের পড়াশোনা, সব মিলিয়ে যে শুক্রবারটা দম নিব তাও সম্ভব না, কারণ শুক্র শনি ক্লাস থাকে.... শীঘ্রই শেষ হবে মাস্টার্স, তখন আরেক যুদ্ধ শুরু হবে....

প্রায় এক বছর হয়ে যাচ্ছে ঢাকা এসেছি, মানসিকভাবে মোটামুটি প্রস্তুত ছিলাম এই সংগ্রামের জন্য.... লিটারেলি একদম জিরো থেকে শুরু করা যাকে বলে, ঠিক তাই করছি....

আমার রুমমেট পুরো একটা বছর দেখেছে আমি কিসের মধ্যে ছিলাম, আমাকে পুরোপুরি সাপোর্ট দিয়েছে

বাবা-মা কখনোই খুশি ছিলেন না আমি পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি করছি এই ব্যাপারটায়.... হাজার বকাঝকা করলেও যখনই কোন সমস্যা হয়েছে তারাই ছুটে এসেছেন.... আমার বান্ধবীরা যখনই সুযোগ পেয়েছে আমায় এসে দেখে গিয়েছে..... আমার মাসি-পিসিমণিও আমায় এসে দেখে গিয়েছেন... যারা আসতে পারেননি বারংবার ফোন দিয়ে খবর নিয়েছেন 💕

তাই মনে মনে বলি অনেক সুখে আছি ... ঈশ্বর আমার ভালোবাসার মানুষদের সুখে রেখো 💕


©All content on this blog is protected by copyright law. Unauthorized use, reproduction, or distribution of any articles without permission is strictly prohibited. Legal action may be taken against violators.

Life is not as glamorous as movies


This movie helped me to manifest the concept of living alone.... এমন সুন্দর সাজানো গোছানো ঘর থাকবে... খোলা জানালা থাকবে, জানালাতে হরেক রকমের ফুল গাছ থাকবে... মোট কথা নিজের মনের মত সব করা যাবে...
But reality was too harsh... Because where I moved in? DHAKA CITY. খোলা জানালা তো ফালায়ে দিলাম, মন খুলে শ্বাস নেওয়ার জো নেই... দুইটা মানুষকে বিশ্বাস করার সাহস নাই...
এই সিনেমার একটা সিন মনে আছে? আইশা (কঙ্কনার চরিত্র) ওর বন্ধুরা মিলে একটা দারুন আর্ট করে... আমিও করেছিলাম, আমাকে চার হাজার টাকার গুণাগারি দিয়ে আসতে হয়েছিল আমার অঙ্কন শিল্পের অবদানের বিনিময়ে...
এসবের পর বাদ বাকি শখ সংগ্রাম নামের একটা ব্ল্যাক হোলে হারিয়ে যাচ্ছে ... Life is not as glamorous as movies. It may entertain you, some may give hope, but the expectation will break you at the end of the day.


Image courtesy Wake up Sid, 2009, Dharma Production.
















©All content on this blog is protected by copyright law. Unauthorized use, reproduction, or distribution of any articles without permission is strictly prohibited. Legal action may be taken against violators.

Monday, July 17, 2023

জীবনের আইডেন্টিটি পুনর্লভ্য করা

আমি ঢাকা চলে আসার পর থেকে মা প্রচন্ড ডিপ্রেশনে চলে যায়... আমার জিনিসপত্র বিছানা ধরে ধরে সারাদিন কান্নাকাটি করে... মায়ের সারাটা জীবনই আমাদেরকে ঘিরে ছিল... নিজের ক্যারিয়ারটা পর্যন্ত স্যাক্রিফাইস করে দিল আমার আর আমার ভাইয়ের জন্য... সেখানে আমিও জীবনের তাগিদে চট্টগ্রাম ছেড়ে চলে আসার পর মা  একদম একা হয়ে যায়... মা জানতো আমাকে ছাড়া একা থাকা কষ্ট হয়ে যাবে, কিন্তু তাও একবারের জন্য আমাকে কোন বাধা দেননি... 

এরপর আমার অসুস্থতা মাকে আরো ভেঙে দেয়। বাবাও নাকি আমার টেনশনে ঘুমের মধ্যে সারাক্ষণ আঁতকে উঠে... 

তাই ঢাকা থেকে আমি সব সময় এনসিওর করি তারা যেন কোনো না কোনো রিক্রিয়েশনাল একটিভিটির মধ্যে থাকেন... যেমন বন্ধু-বান্ধবদের সাথে দেখা করা, সবাই মিলে ঘুরতে যাওয়া ইত্যাদি।

গতকাল মায়ের এক বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল... মায়ের ছোটবেলার বন্ধু বান্ধবীদের সামনে আমি যেন মাকে ভিন্ন ভাবে দেখলাম... একদম ক্লাস টু'র বাচ্চাদের মতো মিষ্টি মিষ্টি দুষ্টুমি করছে... 

কিছুদিন আগে মায়ের বন্ধুবান্ধবদের একটা রিইউনিয়নের আয়োজন হয়... এবং আমার মা ডিসিশন নেয় রিউনিয়নে যাবেন না... বলে কি "বুড়ো বয়সে বন্ধুদের সাথে ঘুরাঘুরি করলে মানুষ কি বলবে" আমি ঢাকা থেকে থ্রেট দিয়ে মাকে ওখানে পাঠাই... মাকে বললাম "সবার জন্য তো যথেষ্ট করেছো, এখনো করছো... এবার একটু নিজের আনন্দটাও দেখো! 

অনেক পিড়াপিড়ির পর গেল সেই রিইউনিয়নে... এবং জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়টা পার করলো... ৩৩ বছর পর নিজের স্কুলের বন্ধুবান্ধবদের দেখা পেল... মাকে সেদিন বহু বছর পর এতটা খুশি দেখেছি.... 

আমাদের বাবা মায়েরা আমাদের জন্য করতে করতে ভুলেই যায় তাঁদেরও একটা আইডেন্টিটি আছে, তাঁদেরও মাঝে মাঝে নিজেদের জন্য ভাবা উচিত...



Image Source: My Album, 23rd Convocation of Premier University
©All content on this blog is protected by copyright law. Unauthorized use, reproduction, or distribution of any articles without permission is strictly prohibited. Legal action may be taken against violators. This image is protected by copyright law and may not be used for any explicit or sexual purposes. Unauthorized use for such content is strictly prohibited and may result in legal action. Respect the terms of use to avoid infringement.

তুলনা

 তুলনা করে কথা বলাটা আমি প্রচন্ড ঘৃণা করি..... এই তুলনা করার মত ঘৃণ্য কাজ, ভাই-বোনের সম্পর্ক, বাবা-মায়ের সম্পর্ক, পৃথিবীর সব পবিত্র সম্পর্কক...