কিন্তু হঠাৎ কি যেন হয়ে গেল, পৃথিবী ছেয়ে গেল এক বিষাক্ত মহামারীতে। যা কুড়ে কুড়ে খেয়ে নিচ্ছে শত কোটি প্রাণ। পৃথিবীর প্রায় ৮০শতাংশ অঞ্চল অবরুদ্ধ ঘোষণা করে দিল।
তিলোত্তমা একদমই ঘরের বাইরে বের হয় না। আর ওদিকে ত্রিদিব খুব ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে কারণ তাঁদের এলাকার ত্রাণকার্য পরিচালনার দায়িত্ব পড়েছে তার কাঁধে।
তিলোত্তমার ত্রিদিবের ওপর ভীষণ রাগ চেপেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে কড়া নির্দেশনা দিয়েছে, লোকসমাগম এড়িয়ে চলার। আর এই পরিস্থিতিতে ছেলেটা ঘরে ঘরে গিয়ে ত্রাণ সংগ্রহ করছে এবং গরীব দুঃখীদের ত্রাণ বিতরণ করছে।
তিলোত্তমা স্বার্থপরের মত ত্রিদিবকে বকছে;
- হ্যালো
- কি?! আমার ময়না পাখি এখনো আমার ওপর রাগ করে আছে? (দুষ্টুমির ছলে)
- ভাল লাগছে না এখন এসব দুষ্টুমি। (বিরক্তি ও অভিমান নিয়ে)
- আচ্ছা বাবা সরি। বলো কেমন আছ?
-বলছি কি সবকিছুতেই তোমার বাড়াবাড়ি। কেন এই মহামারীর মধ্যে ত্রাণকার্য পরিচালনার দায়িত্বটা তুমি নিতে গেলে? (বকছে মত করে)
-কি করবো বলো? এই অবরুদ্ধ শহরে গরীব দুঃখী মানুষগুলো তো না খেতে পেয়ে মরে যাবে!
-আর তুমি? জানো না এই রোগটি মারাত্মক ছোঁয়াচে। তোমার নিজের জীবনের মায়া নেই?
-আমরা যদি গরীব দুঃখীদের পাশে না দাড়াই তাহলে কে দাঁড়াবে বলো?
আজ তিলোত্তমা স্বার্থপরের মত ত্রিদিবকে এই সমাজসেবা থেকে দূরে রাখতে চাইছে। অনেক স্বপ্ন বুনে ফেলেছে তিলোত্তমা ত্রিদিবকে নিয়ে। এই স্বপ্ন ভবিষ্যতে একই সাথে জীবনের দীর্ঘ পথে হাতে হাত রেখে চলার স্বপ্ন। তাই সে তার ভালবাসার মানুষকে এই মৃত্যুর মিছিল থেকে সহস্র যোজন দূরে রাখতে চাইছে।
©All content on this blog is protected by copyright law. Unauthorized use, reproduction, or distribution of any articles without permission is strictly prohibited. Legal action may be taken against violators.
Khub vhalo ��������
ReplyDeleteThanks <3
Delete